"সর্পকেশী দানবী মেডুসা"

গ্রীসের কোনো এক নির্জন জায়গায় অর্ধভগ্ন এক প্রাসাদে একটি অভিশপ্ত দানবী নারী লুকিয়ে থাকে। যার মাথায় চুলের বদলে আছে একগুচ্ছ বিষাক্ত সাপ। তার চোখের দৃষ্টি শান্ত মায়াবী। অনেক বীর যোদ্ধারা তাকে পরাজিত করার সাহস দেখিয়ে সেই স্থানে গিয়েছিলেন কিন্তু কেউই আজ পর্যন্ত ফিরে আসে নি। এমনও শোনা যায় যে সে এতটাই ভয়ঙ্কর ছিলো, স্বপ্নেও কেউ তার চোখের দিকে তাকাতে চাইবে না।

গ্রীক পুরাণের অন্যতম সর্পকেশী দানবী মেডুসা (MEDUSA)। মেডুসা শব্দের অর্থ হলো "Guardian & Protectress" (অভিভাবক, রক্ষাকারী)।

যদিও প্রথমেই বলা ভালো মেডুসার চরিত্রটা একটু ভিন্ন। কারণ মেডুসা প্রথম থেকেই এমন কুৎসিত ও দানবী ছিলো না।
মেডুসা ছিলো এক অপরূপ সুন্দরী নারী। মেডুসার বাবা সমুদ্রের অন্যতম দানব ফরসিস (PHORCYS) এবং মা সমুদ্রের অন্যতম দানবী সিটো (CETO).
মেডুসারা তিন বোন, বাকি দুইজন হলেন স্থেনো (STHENO) এবং ইউরায়ালি (Euryale) যাদের একসাথে "দ্যা গর্গনস" (THE GORGONS) বলা হয়। দ্যা গর্গনস এর মধ্যে মেডুসা সবার ছোটো। মেডুসার দুই বোন ছিলেন সাপ ও নারীর মিলিত রূপ। মেডুসার দুই বোন অমর হলেও মেডুসা ছিলো আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই মানুষ এবং মরণশীল।

ছোটো বেলা থেকেই মেডুসা ছিলো গ্রীক দেবী এথেনার (ATHENA) ভক্ত। ছোটো বেলা থেকেই মেডুসা তার দুই বোন স্থেনো এবং ইউরায়ালি কে খুব ভালোবাসত তারা একসাথে খেলা করতো।
তাদের খেলার অন্যতম সঙ্গী ছিলো ইফিক্লিস (IPHICLES) নামের একটি বালক। এই ইফিক্লিস ছিলো মেডুসার প্রিয় বন্ধু। এইভাবে দেখতে দেখতে মেডুসা যৌবনে উপনীত হতে থাকে এবং তার রূপের ঝলকও দিনে দিনে বাড়তে থাকে। রূপে ও গুনে পরিপূর্ণ মেডুসার প্রেমে পড়ে যায় তরুণ ইফিক্লিস, এবং মেডুসাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ফেলে। মেডুসাও ইফিক্লিসকে ভালোবাসত। কিন্তু মেডুসার স্বপ্ন ছিলো অন্য। মেডুসা ছোটো থেকেই ছিলো গ্রীক দেবী এথেনার ভক্ত। তাই সে বড়ো হয়ে এথেনার মন্দিরের প্রধান যাজিকা হতে চেয়েছিল। গ্রীসের রীতি অনুযায়ী এথেনার পুজো সবাই করতে পারতো না। এথেনার পুজো করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী ছিলো। দেবী এথেনা ছিলেন গ্রীসের পবিত্রতার প্রতীক এবং প্রজ্ঞা ও যুদ্ধের দেবী। তাই এথেনার পুজো একমাত্র মেয়েরাই করতে পারতো এবং এথেনার যাজিকাদের অবিবাহিত থাকতে হতো। শুধু মনের দিক থেকেই নয় শরীরের দিক থেকেও তাকে সম্পূর্ন পবিত্রতা বজায় রাখতে হতো। অর্থাৎ পুরুষের আলিঙ্গনে এসেছে এমন কোনো মেয়ে এথেনার পুজো করার অযোগ্য।
যে কারণে মেডুসা ইফিক্লিসের প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।
মেডুসা এথেনার মন্দিরের যাজিকা হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। একসময় মেডুসা এথেনার মন্দিরের প্রধান যাজিকা হিসাবে নির্বাচিত হয়েও যায়।
এমন সময় এথেনার মন্দিরে জনসমাগমও বেড়ে যায়। মেডুসা যেভাবে এথেনার পূজার নিয়মাবলী ও রীতিনীতি পালন করতো সেটা দেখার জন্য দূর দুরন্ত থেকেও লোকেরা এসে এথেনার মন্দিরে ভিড় জমাতো। অপরূপ সুন্দরী মেডুসার অঙ্গভঙ্গী, মুখশ্রী, ফর্সা কোমল দেহ, সুন্দর ঘন কালো চুল এগুলোতেই দর্শনার্থীরা বেশি আকৃষ্ট হতেন। মেডুসার খোলা চুল যখন হওয়ায় ভাসত দর্শনার্থীরা বলতেন এথেনার থেকে মেডুসার চুল অনেক সুন্দর।

সবার অলক্ষ্যে মাউন্ট অলম্পাস (MOUNT OLYMPUS) থেকে দেবী এথেনা সবই লক্ষ‍্য করতেন। তিনি উপলব্ধি করতে পারতেন যে দর্শনার্থীরা সেখানে তার উপাসনা নয় বরং মেডুসার সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে। দেবী এথেনার নজর সব সময় মেডুসার দিকেই থাকতো। এমন সময় তিনি মেডুসার প্রতি একটু হিংসাপরায়ণও হয়ে পড়েন, কিন্তু তিনি মেডুসার কোনো ক্ষতি করতে পারতেন না কারণ তিনি জানতেন মেডুসা তার সর্বোত্তমটা দিয়ে তাঁর উপাসনা করতো। দেবী এথেনা এটাও জানতেন যে এমত অবস্থায় তিনি যদি মেডুসার বিরুদ্ধে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেন সেটা মেডুসার প্রতি অবিচার করা হবে। তাই দেবী এথেনা সুযোগের অপেক্ষা করতে থাকলেন।

মাউন্ট অলম্পাসে দেবী এথেনা কে লক্ষ‍্য করেন গ্রীক দেবতা পসেইডন (POSEIDON)। যাকে সবাই সমুদ্রের
দেবতা বলে জানতো। দেবী এথেনার সাথে পসেইডনের একটি পুরাতন শত্রুতা ছিলো এথেন্স শহরকে নিয়ে। পসেইডনও অপেক্ষাতে ছিলেন বদলা নেওয়ার জন্য। পসেইডন যখন বুঝতে পারলেন যে এথেনার মন তার মন্দিরের প্রধান যাজিকা মেডুসার উপর, পসেইডনেরও নজর পড়লো মেডুসার প্রতি। তিনি তার কামন বাসনা চরিতার্থের জন্য মেডুসাকে বেছে নিলেন। এখানে পসেইডনের আরও একটি উদ্দেশ্যেও পূরণ হতো সেটা হলো এথেনার প্রতি শত্রুতার বদলা।
যদিও অনেক গ্রীক পুরাণবীদরা বলে থাকেন পসেইডন মেডুসার প্রেমে পড়েছিলেন। তাই তিনি মেডুসা কে বারংবার প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকেন কিন্তু এথেনার মন্দিরের প্রধান ধর্ম যাজিকা হওয়ার কারণ এই প্রস্তাব মেডুসা নাকচ করে দেয়। তাই পসেইডন ঠিক করেন জোর করেই তিনি মেডুসার থেকে ভালোবাসা আদায় করবেন।
এরপর একদিন মেডুসা পুজোর জন্য সমুদ্রের জল আনতে গেলে পসেইডন মেডুসার পিছু নেন এবং তাকে উত্যক্ত করতে থাকেন। সেখানে তরুণ ইফিক্লিসও ছিলো কিন্তু সমুদ্রের দেবতা পসেইডনকে বাধা দিতে গেলে পসেইডন তাকে এক আঘাতেই আহত করে ফেলেন এবং মেডুসার পিছু করে মন্দিরে আসেন। সেখানে মেডুসা অনেকবার তার উপাস্য দেবীকে অনুরোধ করে তাকে সাহায্য করার জন্য কিন্তু দেবী এথেনার থেকে কোনো সারা পাওয়া যায় না। এথেনার মন্দিরের ভিতরেরই পসেইডন মেডুসার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর পসেইডন সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। মেডুসা সেখানে অজ্ঞান হয়ে অনেক্ষন পড়ে ছিলো। জ্ঞান ফিরলে তিনি কিছুক্ষন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা চিন্তা করতে থাকে এবং নিজেকে ঘৃণ্য একটা বস্তু মনে করতে থাকে। তার সমস্ত স্বপ্ন একমুহূর্তেই ভেঙে যায়।
মন্দিরে দেবী এথেনার উপস্থিতি ঘটে, তিনি যেনো এইমুহূর্তেরই অপেক্ষায় ছিলেন।
তাঁর সমস্ত ক্ষোভ এবং রাগ গিয়ে পরে নির্দোষ মেডুসার উপর। তিনি মেডুসা কে অভিশাপ দেন যে সৌন্দর্য দেখে দর্শনার্থীরা মেডুসার জন্য দেবী এথেনার অপমান করেছে সেই সৌন্দর্য আর থাকবে না, মেডুসা একটি অর্ধমানব ও অর্ধসর্পে পরিণত হবে এবং যে প্রাণী তার চোখের দিকে তাকাবে সে পরিণত হবে একটি পাথরের মূর্তিতে। মেডুসার কোমর থেকে পা পর্যন্ত পরিণত হয় সাপের দেহে, গায়ের রং দুধে আলতা থেকে হয়ে যায় সবুজ, মসৃণ ত্বক পরিণত হয় মোটা পুরু আঁশের মতো আস্তরণে, মাথায় ঘন কালো চুল গুলি হাজার হাজার বিষাক্ত সাপে পরিণত হয়, চোখের দৃষ্টি হয়ে যায় হিমশীতল।
মেডুসা নিজের সৌন্দর্যের এই অবস্থা দেখে সেখানেই কাঁদতে থাকে। সে মনে করতে থাকে নির্দোষ হয়েও কেনো তাকে এই অভিশাপের ভার সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। এমন সময় ইফিক্লিসেরও জ্ঞান ফিরে আসে উঠে দাঁড়িয়ে মন্দিরের ভিতর থেকে মেডুসার কান্নার আওয়াজ পেয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে যায় মন্দিরের দিকে। ইফিক্লিস দেখতে পায় অন্ধকারে মেডুসা বসে কান্না করছে। ইফিক্লিস বুঝতে পারে নিশ্চই খারাপ কিছু ঘটেছে।
ইফিক্লিস মেডুসার কাছে গিয়ে তাকে ডাকতে যাবে এমন সময় এক বিষাক্ত সাপ তার হাতে ছোবল মারে মেডুসাও ফিরে তাকায় ইফিক্লিসের দিকে। মেডুসার সাথে ইফিক্লিসের চোখাচুখি হয়। সাথে সাথেই ইফিক্লিস পরিণত হয় একটি নিস্প্রান পাথরের মূর্তিতে। তার ছোটবেলার খেলার সাথীর এই পরিনাম দেখে ইফিক্লিসের মূর্তি ধরে মেডুসা কান্নায় ভেঙে পড়ে। মনের মধ্যে রাগ, দুঃখ, হতাশা, ভয় নিয়ে এথেনার মন্দির থেকে ছুটে বেরিয়ে পরে নির্জন কোনো স্থানের উদ্দেশ্যে। রাতে লোকালয়ের মধ্যে দিয়ে ছুটে পালানোর সময় কিছু মানুষ মেডুসা কে দেখে নেয়। তাদেরও পরিণতি হয় ইফিক্লিসের মতো।
পরদিন সকালে নির্জীব পাথরের মূর্তিগুলো দেখে ভয়ঙ্কর দানবী মেডুসার কথা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পরে। কিছু কিছু লোকগাথায় এমনও কথিত আছে যে মেডুসা যখন দৌড়ে যাচ্ছিলো তার মাথা থেকে বিষাক্ত সাপ ঝরে পড়ছিলো মাটিতে আর তাই জন্যই বর্তমানে আফ্রিকায় এত বিষাক্ত সাপের উৎপাত। শহরের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

মেডুসার মনে পুরুষজাতির জন্য তৈরি হয় ঘৃণা এবং রাগ। মেডুসা আশ্রয় নেয় জনমানবহীন দ্বীপের একটি ভগ্ন রাজপ্রাসাদে।
মেডুসার বসতি এই জনমানবহীন দ্বীপটি ছিলো রাজা পলিডেকটাসের (POLYDECTES) রাজ্যের অন্তর্গত। রাজা পলিডেকটাস ছিলেন চরিত্রহীন একটি রাজা। তার স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি ড্যানি (DANI) নামের একটি মহিলার প্রেমে পাগল ছিলেন। কিন্তু ড্যানি কে নিজের প্রেমের জালে আবদ্ধ করার মাঝে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ড্যানির একমাত্র ছেলে পার্সিয়াস (PERSEUS)। পার্সিয়াস ছিলেন হারকিউলিসের (HERCULES) মতোই গ্রীক দেবতা জিউসের অবৈধ সন্তান। রাজা পলিডেকটাস চেয়েছিলেন পার্সিয়াসকে যে কোনো মূল্যে তার ও ড্যানির মধ্যে থেকে সরিয়ে দিতে।
বুদ্ধি করে তিনি তার রাজপ্রাসাদে এক বিশাল রাজসভার আয়োজন করলেন এবং রাজ্যের সবাইকে সেই রাজসভায় আমন্ত্রণ করলেন। রাজ্যের সবাই সেদিন সেই রাজসভায় উপস্থিত হয়েছিলো রাজার জন্য দামী উপহার নিয়ে, একমাত্র পার্সিয়াস ছাড়া। পার্সিয়াস রাজার জন্য কোনো উপহার আনতে পারেন নি। রাজসভায় মহাভোজ চলাকালীন রাজা সবার উপহারের প্রশংসা করেন এবং সাথে মেডুসার প্রসঙ্গও তোলেন। রাজার এমন আচরণে যুবক পার্সিয়াসের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। সাথে সাথে উঠে দাঁড়িয়ে পার্সিয়াস বলে ওঠেন রাজার জন্য তিনি মেডুসার মাথা এনে দেবেন। এবং এটাই হবে তার পক্ষ থেকে রাজার জন্য উপহার। রাজা পলিডেকটাস খুবই খুশি হন, কারণ তিনি এটাই চেয়েছিলেন। রাজা জানতেন মেডুসার মাথা আনতে গেলে পার্সিয়াস আর কখনোই জীবিত ফিরবে না। জিউসের পুত্র হওয়ায় পার্সিয়াসও কিছুটা দৈব ক্ষমতা পেয়েছিলেন। এমন দুঃসাহসিক অভিযানে যাওয়ার জন্য দেবতারাও পার্সিয়াসকে সাহায্য করেন। পার্সিয়াস জিউসকে তলোয়ার দেন। দেবী এথেনা দেন ঢাল। ঢালটি ছিলো খুবই মসৃণ যাতে আয়নার মতো প্রতিবিম্ব দেখা যেতো।
পার্সিয়াস সেই নির্জন দ্বীপে প্রবেশ করার সাথে মেডুসা বুঝে যায় তাকে হত্যা করার জন্য আবার কেউ এই নির্জন দ্বীপে এসেছে। পার্সিয়াসও সামনে এগিয়ে যান। এমন সময় মেডুসা পার্সিয়াসকে দেখতে পেয়ে তার পিছনে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু মেডুসা পার্সিয়াসকে দেখে অবাক হয়ে যায়, কারণ পার্সিয়াসের কাছে যে ঢালটি ছিলো সেটা তার উপাস্য দেবী এথেনার।
পার্সিয়াস এমন সময় ঢালে মেডুসার প্রতিবিম্ব দেখে বুঝে যান যে মেডুসা তার পিছনেই দাঁড়িয়ে আছে। তাই পার্সিয়াস মেডুসার চোখের দিকে না তাকিয়ে ঢালের দিকে চোখ রেখে মেডুসার গলা বরাবর তলোয়ার চালান। এবং নিমেষেই মেডুসার মাথা ধর থেকে আলাদা হয়ে যায়।

এরপর মেডুসার মাথা নিয়ে পার্সিয়াস সেই দ্বীপ থেকে রহনা দেন। এরপর মেডুসার মাথা দ্বারা পার্সিয়াস অনেক যুদ্ধেই জয়লাভ করেছিলেন। কিছু মতবাদ অনুযায়ী সমুদ্র দানব ক্রাকেন (KRAKEN) কে বধ করার জন্য রাজা পলিডেকটাস মেডুসার মাথা কেটে আনার জন্য পার্সিয়াসকে পাঠিয়েছিলেন।
পুরাণ মতে পার্সিয়াস মেডুসার মাথা দেবী এথেনাকে অর্পণ করেন। দেবীর মনেও মেডুসার জন্য মায়া সৃষ্টি হয়। কারণ দেবী নিজেও বুঝতে পেরেছিলেন মেডুসার ছিলো সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ তার সাথে যা হয়েছে সেটা অবিচার। মেডুসার সেখানে সামান্যতমও দোষ ছিলো না। দেবী এথেনা মেডুসার প্রতি সম্মান দেখান ও তার মাথা কে নিজের ঢালের মধ্যে প্রতিস্থাপন করেন।
মেডুসা মারা গেলেও তার দুটি সন্তান হয়। সোনার তলোয়ারধারী দানব ক্রাইসর (CHRYSAOR) এবং দুই ডানাওয়ালা সাদা ঘোড়া পেগাসাস (PEGASOS) গ্রীসের অন্যতম পবিত্রতার প্রতীক।
অনেক গ্রীক পুরাণবীদের ভাষ্য অনুযায়ী - "মেডুসা কোনো Villen ছিলেন না, তিনি ছিলেন Victim, যে গ্রীক দেবতাদের দ্বারা নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছিলেন।"
কথাটা অনেকাংশে সত্য, কারণ সেদিন যদি মেডুসা কে তার উপাস্য দেবী এথেনা পসেইডনের থেকে বাঁচাতেন তবে মেডুসার ইতিহাস হয়তো আমরা অন্যভাবে পড়তে পারতাম।

Comments

Post a Comment

Popular Posts